Sunday, June 9, 2013

ফতোওয়া




বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম


 প্রশ্নঃ










--------------------------------------------------------@@@@@@@@@@@@@@@-----------------------------------------------------------



প্রশ্ন  : কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করা যাবে কি?

উত্তর : কুরবানীর গোশত তিন শ্রেণীর ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টিত হবে। আল্লাহ বলেন, তা হতে তোমরা খাও, অভাবগ্রস্তকে খাওয়াও এবং ভিক্ষাকারীকে দাও (হজ্জ ৩৬)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে একভাগ নিজ পরিবারকে খাওয়াতেন ও একভাগ অভাবী প্রতিবেশীদের দিতেন ও একভাগ সায়েলদের মধ্যে ছাদাক্বা করতেন। প্রয়োজনে ভাগে কম-বেশী করা যাবে। কিংবা সবটুকু ছাদাক্বা করায়ও কোন দোষ নেই (মিরআত ৫/১২০; ইবনু কুদামা, মুগনী ১১/১০৮-০৯)। 



প্রশ্নঃ মহিলাদের জুম’আয় শরীক হওয়া কি যায়েজ আছে?
উত্তর- জুম’আয় অংশ গ্রহন মেয়েদের জন্য ফরজ নয়। তবে কোন নিষেধ ও নেই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জামানায় মুহাজির মহিলাগণ নবীজি (সাঃ) এর পেছনে জুম’আর সালাত আদায় করতেন।
জুম’আয় শরীক হওয়ার মধ্যে মেয়েদের জন্য কল্যানের ভাগই বেশী। কারণ দ্বীন শিক্ষার সুযোগ সুবিধা মেয়েদের জন্য ততটুকু নেই যতটুকু পুরুষদের আছে। কলেজ ইউনিভার্সিটি শিক্ষায় তারা অগ্রসর হলেও কুরআন ও হাদীসের শিক্ষায় তারা অনেক পেছনে। কমপক্ষে সাপ্তাহিক একটি খুৎবায় তারা ধর্মীও নিরক্ষরতা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারে। দ্বীনী ইলমের আলো তারা পেলে পারিবারিক জীবন আরও সুন্দর এবং ছেলে মেয়েদেরকে দ্বীনী পথে মানুষ করার কাজ সহজ হবে। সে লক্ষ্যে নারীদের মসজিদে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া ও মসজিদে তাদের আলাদা জায়গা রাখা কর্তৃপক্ষের জন্য একটি মহৎ কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এ হিসাবে তারা সওয়াবও পাদেন, ইনশাআল্লাহ। শুধু একটা শর্ত যে, মহিলারা পূর্ণ পর্দার সাথে ও সর্বাঙ্গীণ শালীনতা বজায় রেখে মসজিদে গমনাগমন করবেন।



লাঠি হাতে নিয়ে জুমার খুতবা দেয়া কি সুন্নত?
প্রশ্ন : আল্লাহ আপনাকে বরকত দান করুন। কোনো কোনো মসজিদের ইমাম সাহেবকে দেখি লাঠির উপর ভর দিয়ে খুতবা দেন। এটা কি সুন্নত?
উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
লাঠি অথবা এজাতীয় কোনো বিষয়, যেমন ধনুক, তরবারি ইত্যাদির উপর ভর দিয়ে খুতবা দেয়া বিষয়ে শরিয়তবিদদের দুটি অভিমত রয়েছে:
প্রথম অভিমত: এরূপ করা মুস্তাহাব, মালিকি, শাফেয়ি ও হাম্বলি মাযহাবের অধিকাংশ উলামা এ মতের পক্ষে গিয়েছেন।
ইমাম মালেক র. বলেন,’খুতবা দেন এমন ইমামদের জন্য এরূপ করা মুস্তাহাব। অর্থাৎ তারা লাঠিতে ভর করা অবস্থায় খুতবা দেবেন। এরূপই আমরা দেখেছি ও শুনেছি।‘ [ আল মুদাউওয়ানাতুল কুবরা :১/১৫১] মালিকি মাযহাবের পরবর্তী যুগের কিতাবপত্রে এ অভিমতকেই নির্ভরযোগ্য বলা হয়েছে। [ দেখুন: জাওয়াহেরুল ইকলীল: ১/৯৭ ও হাশিয়াতুদ্দাসুকি: ১/৩৮২ ]
ইমাম শাফেয়ি র. বলেন,’যে খুতবা প্রদান করবেন - তা যে প্রকৃতিরই হোক না কেন- তিনি  কোনো কিছুর উপর ভর দেবেন, এটাই আমার কাছে পছন্দনীয়।‘ [ আল উম্ম:১২৭২] এ বিষয়ে শাফেয়ি মাযহাবের ফতোয়া এটাই। [ দ্র: নিহায়াতুল মুহতাজ : ২/৩২৬ ও হাশিয়াতু কালয়ুবি:১/২৭২ ]
হাম্মলি মাযহাবের ইমাম বাহুতি র. বলেন,’যে কোনো হাত দিয়ে  তরবারি, ধনুক বা লাঠির উপর ভর দিয়ে খুতবা দেয়া সুন্নত।‘ [ কাশশাফুলকেনা:২/৩৬, আরো দ্র: আল ইনসাফ: ২/৩৯৭ ]
এই অভিমত যারা ব্যক্ত করেছেন তাদের কথা হল, লাঠির উপর ভর দিয়ে খুতবা দেয়া রাসূলুল্লাহ থেকে বহু হাদিসে প্রমাণিত। তন্মধ্যে একটি হল হাকাম ইবনে হাযামের হাদিসে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার দিন (লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুতবা দিয়েছেন, অতঃপর তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করেছেন...) [ আবু দাউদ: ১০৯৬, ইমাম নববি আল মাজমু গ্রন্থে হাদিসটি হাসান বলেছেন, (৪/৫২৬) সহিহু আবি দাউদ গ্রন্থে আলবানি র. হাদিসটিকে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন। অবশ্য শরিয়তবিদদের কেউ কেউ হাদিসটি যয়িফ বলেছেন। ইবনে কাছির র. ইরশাদুল ফকিহ গ্রন্থে (১/১৯৬) বলেন,’এই হাদিসের সনদটি শক্তিশালী নয়।‘
দ্বিতয় অভিমত; এরূপ করা মাকরুহ, হানাফি মাযহাবের এটাই ফতোয়া, যদিও এ মাযহাবের কিছু ফকিহ এ মতের বিরুদ্ধে গিয়েছেন।
ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়াতে  আল মুহিতুল বুরহানি গ্রন্থের রচয়িতার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে:
খতিব যদি লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুতবা দেন, তবে তা জায়েজ, কিন্তু এরূপ করা মাকরুহ; কারণ তা সুন্নতের খেলাফ। [ ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া:২/৬১]
হানাফি মাযহাবের আরেকটি ফতোয়াগ্রন্থ, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়াতে এসেছে (১/১৪৮) :
ধনুক অথবা লাঠির উপর ভর দিয়ে খুতবা দেয়া মাকরুহ, খুলাসা  ও আল মুহিত গ্রন্থদ্বয়ে এরূপই এসেছে। আর যেসব দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে জয় হয়েছে সেসব দেশে খতিবগণ তরবারি ঝুলিয়ে খুতবা দিবে। তাহাবি গ্রন্থের ব্যাখ্যায় এরূপই রয়েছে।
ইমাম ইবনুল কাইয়েমের কথাও প্রমাণ করে যে মিন্বারে খুতবা দেয়ার সময় লাঠির উপর ভর দেয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত নয়।
তিনি বলেন:’ তিনি তরবারি বা অন্য কিছু নিয়ে খুতবা দিতেন না। মিন্বার নির্মাণের পূর্বে তিনি ধনুক অথবা লাঠির উপর ভর দিতেন। যুদ্ধের ময়দানে তিনি ধনুকের উপর ভর দিয়ে খুতবা দিতেন, আর মসজিদে লাঠির উপর। তরবারির উপর ভর দিয়ে খুতবা দিয়েছেন বলে কোনো বর্ণনায় নেই। কিছু মূর্খ লোক মনে করে থাকে যে তিনি সর্বদা তরবারির উপর ভর দিয়ে খুতবা দিয়েছেন-যা ইঙ্গিত করে যে এই দীনে-ইসলাম তরবারির দ্বারা কায়েম হয়েছে- চরম মূর্খতার ফলেই তারা এরূপ বলে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এমন কোনো বর্ণনা আসেনি যে তিনি তরবারি, ধনুক অথবা অন্য কিছু নিয়ে মিন্বারে উঠতেন। এমনকী মিন্বার নির্মাণের পূর্বেও যে তিনি তরবারি হাতে নিয়ে খুতবা দিয়েছেন, এ কথা কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায় না। মিন্বার নির্মাণের পূর্বে তিনি লাঠি বা ধনুকের উপর ভর দিতেন।‘ [ যাদুল মাআদ : ১/৪২৯ ]
শায়খ ইবনে উসাইমীন র. বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরবারি, ধনুক অথবা লাঠির উপর ভর দিয়ে খুতবা দিতেন একথা প্রমাণের পক্ষে যে হাদিস উল্লেখ করা হয় তা সন্দেহযুক্ত। যদি ধরেও নিই যে হাদিসটি সহিহ, তবুও ইবনুল কাইয়েম র. বক্তব্য বিষয়টি পরিষ্কার করে দিচ্ছে। তিনি বলেছেন: মিন্বার নির্মাণের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো কিছুর উপর ভর দিয়েছেন বলে কোনো বর্ণনায় আসেনি।
এর ব্যাখ্যায় বলা যায়: কোনো কিছুর উপর ভর দেয়া প্রয়োজনের সময় হতে পারে। উদাহরণত খতিব যদি এমন দুর্বল হয় যে তাকে লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়াতে হবে, তবে সে লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়াবে। এবং এসময় তা সুন্নত বলে পরিগণিত হবে। কেননা তা দাঁড়ানোর ব্যাপারে সাহায্য করে। আর খুতবার সময় দাঁড়ানো সুন্নত। পক্ষান্তর যদি প্রয়োজন না থাকে তাহলে লাঠি বহনের আদৌ দরকার নেই। [ আশশারহুল মুমতে: ৫/৬২-৬৩ ]
শায়খ আলবানি র. ইবনুল কাইয়েম র. এর কথা সমর্থন করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেয়ার সময় ধনুক অথবা লাঠির উপর ভর দিতেন এ কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। [ দ্র: আসসিললাতুয যায়িফা : ৯৬৪ ]
আল্লাহই উত্তম জ্ঞানী।

প্রশ্নঃ  : কাদিয়ানী মতবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন?
উত্তর : কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের। চৌদ্দশ হিজরীর প্রথম দিকে গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীর (১৮৩৫-১৯০৮) মাধ্যমে মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইংরেজদের সহযোগিতায় এ সম্প্রদায় জন্মলাভ করে (পৃঃ ১১৮-২২)। গোলাম আহমাদ প্রথমে নিজেকে মুজাদ্দিদ ও ইমাম মাহদী দাবী করে। এরপর নিজেকে ঈসা ইবনু মারইয়াম বলে দাবী করে। এমনকি মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে দাবী করে (পৃঃ ১০৮)।
নিম্নে তাদের কিছু আক্বীদা্ উল্লেখ করা হল


নিম্নে তাদের কিছু আক্বীদা্ উল্লেখ করা হলঃ (১) তারা বিশ্বাস করে যে, স্বয়ং আল্লাহ্ ছালাত আদায় করেন, ছওম পালন করেন, ঘুমান, জাগ্রত থাকেন, লিখেন, সঠিক করেন, ভুল করেন, স্ত্রীর সাথে মিলিত হন ইত্যাদি (পৃঃ ৯৭)। (২) তারা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে শেষনবী বলে স্বীকার করে না (পৃঃ ১০২)। (৩) তারা বিশ্বাস করে যে, গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নবী ও রাসূলগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ (পৃঃ ১০৩, ১০৮)। (৪) তারা বিশ্বাস করে যে, গোলাম আহমাদের নিকট জিবরীল (আঃ) অহি নিয়ে আগমন করতেন (পৃঃ ১০৬)। (৫) যারা গোলাম আহমাকে বিশ্বাস করে না তাদেরকে তারা কাফির আখ্যা দিয়ে থাকে এবং তাদেরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী মনে করে (পৃঃ ১২২)। (৬) তারা মুসলিমদের পিছনে ছালাত আদায় করাকে জায়েয মনে করে না এবং মুসলমানদের সাথে বিবাহ-শাদী হারাম মনে করে ও তাদের কবরস্থানে মুসলমানদের দাফন নিষিদ্ধ বলে (পৃঃ ৩৪, ৩৬-৩৭)।
(৭) বৃটিশ প্রভুদের খুশী করার জন্য গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী তার বায়

(৭) বৃটিশ প্রভুদের খুশী করার জন্য গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী তার বায়আত নামায় বলেন, যে ব্যক্তি ইংরেজ হুকুমতের আনুগত্য করে না, বরং তাদের বিরুদ্ধে মিছিল করে, সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয় (পৃঃ ১২১-২২)। ইংরেজরা সবচেয়ে ভয় পায় মুসলমানদের জিহাদী জাযবাকে। তাই তিনি লেখেন, তোমরা এখন থেকে জিহাদের চিন্তা বাদ দাও। কেননা দ্বীনের জন্য যুদ্ধ হারাম হয়ে গেছে। এখন ইমাম ও মসীহ এসে গেছেন এবং আসমান থেকে আল্লাহর নূর অবতরণ করেছেন। অতএব কোন জিহাদ নেই। সুতরাং যারা এখন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে, তারা আল্লাহর শত্রু (পৃঃ ১১৯)। (৮) তাঁর লিখিত বই আল-কিতাবুল মুবীন-কে তারা কুরআনের ন্যায় মনে করে যা বিশ পারায় সমাপ্ত এবং এর বিরোধী সবকিছুকে তারা বাতিল গণ্য করে (পৃঃ ১০৮, ১১৭)। (৯) তারা কাদিয়ান শহরকে মক্কা-মদীনার চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মনে করে এবং ঐ শহরের মাটিকে তারা হারাম শরীফ বলে (পৃঃ ১১১-১২)। (১০) তারা তাদের দ্বীনকে পৃথক ও নতুন পরিপূর্ণ দ্বীন মনে করে। গোলাম আহমদের সাথীদেরকে ছাহাবা এবং তার অনুসারীদের নতুন উম্মত বলে (পৃঃ ১১০)। (১১) কাদিয়ানে তাদের বার্ষিক সম্মেলনকে হজ্জ মনে করে (১১৬)। এছাড়াও তাদের বহু মন্দ আক্বীদা রয়েছে (বিস্তারিত দ্রঃ ইহসান ইলাহী যাহীর, আল-ক্বাদিয়ানিয়াহ : দিরাসাত ও তাহলীল (রিয়াদ : ১৪০৪/১৯৮৪) পৃঃ ৯৪-১২৩; ১৫৪-৫৯)।
গোলাম আহমাদের শেষ পরিণতি : অল ইন্ডিয়া আহলেহাদীছ কনফারেন্স-এর সেক্রেটারী ও সাপ্তাহিক

গোলাম আহমাদের শেষ পরিণতি : অল ইন্ডিয়া আহলেহাদীছ কনফারেন্স-এর সেক্রেটারী ও সাপ্তাহিক আখবারে আহলেহাদীছ পত্রিকার সম্পাদক আবুল অফা ছানাউল্লাহ্ অমৃতসরী (রহঃ) অনেকগুলি মুনাযারায় তাকে পরাজিত করেন। মাওলানা ছানাউল্লাহর আগুনঝরা বক্তৃতা ও ক্ষুরধার লেখনীতে অতিষ্ঠ হয়ে গোলাম আহমাদ ১৯০৭ সালের ১৫ই এপ্রিল তারিখে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাওলানা ছানাউল্লাহকে মুবাহালা করার আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদের দুজনের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী, তাকে যেন আল্লাহ সত্যবাদীর জীবদ্দশায় মৃত্যু দান করেন। আল্লাহ মিথ্যুকের দোআ কবুল করেন এবং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৩ মাস ১০ দিন পর ১৯০৮ সালের ২৬ মে কঠিন কলেরায় আক্রান্ত হয়ে নাক-মুখ দিয়ে পায়খানা বের হওয়া অবস্থায় এই ভন্ডনবী ন্যাক্কারজনকভাবে লাহোরে নিজ কক্ষের টয়লেটে মৃত্যুবরণ করেন। অথচ মুবাহালা গ্রহণকারী সত্যসেবী আহলেহাদীছ নেতা আল্লামা ছানাউল্লাহ আমৃতসরী মৃত্যুবরণ করেন মিথ্যাবাদীর মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পরে ১৯৪৮ সালের ১৫ই মার্চ তারিখে। ফালিল্লা-হিল হাম্দ।








No comments:

Post a Comment